চাকরির খবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫।
IU Job Circular 2025। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫। । ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইইউ) কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ দেবে, যেখানে আগ্রহী নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকযোগে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য, আবেদন প্রক্রিয়া, পরীক্ষার তারিখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো।
প্রতিষ্ঠানের নাম | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
চাকরির প্রকৃতি: | সরকারি চাকরির খবর |
প্রকাশের তারিখ: | ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ |
আবেদনের পদ্ধতি: | ডাকযোগে |
পদসংখ্যা ও জনবল: | ০৫ টি পদে ১৬ জন নিয়োগ |
আবেদন শুরুর তারিখ: | ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ |
আবেদন শেষে তারিখ: | ১৩ মার্চ, ২০২৫ |
অফিসিয়াল প্রোটাল: | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় |
সরকারি চাকরির খবর (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি) Govt Job Circular
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫- এর পদের নাম ও শূন্যপদ:-
১। বিভাগ: দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ
পদের নাম: প্রভাষক।
পদ সংখ্যা: ০৫টি স্থায়ী।
গ্রেড: ০৯ তম।
বেতন: ২২,০০০ – ৫৩,০৬০/- টাকা।
২। বিভাগ: গণিত
পদের নাম: প্রভাষক।
পদ সংখ্যা: ০৪ টি স্থায়ী।
গ্রেড: ০৯ তম।
বেতন: ২২,০০০ – ৫৩,০৬০/- টাকা।
৩। বিভাগ: ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
পদের নাম: প্রভাষক।
পদ সংখ্যা: ০২ টি স্থায়ী।
গ্রেড: ০৯ তম।
বেতন: ২২,০০০ – ৫৩,০৬০/- টাকা।
৪। বিভাগ: ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং
পদের নাম: প্রভাষক।
পদ সংখ্যা: ০২ টি স্থায়ী।
গ্রেড: ০৯ তম।
বেতন: ২২,০০০ – ৫৩,০৬০/- টাকা।
৫। বিভাগ: আরবী ভাষা ও সাহিত্য
পদের নাম: প্রভাষক।
পদ সংখ্যা: ০৩ টি স্থায়ী।
গ্রেড: ০৯ তম।
বেতন: ২২,০০০ – ৫৩,০৬০/- টাকা।
চাকরির খবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ এর শর্তাবলী ও আবেদন পদ্ধতি:-
আবেদন ফরম, নিয়োগের শর্তাবলী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী অগ্রণী ব্যাংক (পিএলসি), ইবি শাখা, কুষ্টিয়া এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের website: www.iu.ac.bd এ পাওয়া যাবে। আবেদনপত্র আগামী ১৭/০৩/২০২৫ তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রার,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (অফিস চলাকালীন সময়ে) বরাবর পৌঁছাতে হবে।
Job Circular 2025 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ এর অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন:-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ: একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), বাংলাদেশ কুষ্টিয়ায় অবস্থিত একটি অন্যতম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যা ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজ করে আসছে। এখানে বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি, ব্যবসায় প্রশাসন, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক এবং বিশেষভাবে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী আইনের উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি ১৭৫ একর জমির উপর বিস্তৃত এবং এটি কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এখানে প্রায় ১৮,০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, যার মধ্যে ১৩,৫০০ স্নাতক এবং ২,৫০০ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রয়েছেন। একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৬ সালে, এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ চালু রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভাগগুলোর সংখ্যা ৫৯টি পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:-
শিক্ষাগত কার্যক্রম: ইবি প্রকৌশল, জৈবপ্রযুক্তি, ফার্মেসি, ব্যবসা প্রশাসন, আইন, এবং মানবিক বিষয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে। বিশেষত, এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী আইনের উপর বিশেষায়িত ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইবির শিক্ষকরা আন্তর্জাতিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে স্বল্প খরচের হোম সিকিউরিটি সিস্টেম এবং জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ইভিনিং প্রিমরোজ ফুলের চাষ।
সুবিধাসমূহ: ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি, আবাসিক হল, এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এখানে ৮টি আবাসিক হল রয়েছে, এবং আরও কয়েকটি হল নির্মাণাধীন।
সাংস্কৃতিক ও অতিরিক্ত কার্যক্রম: শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা নিয়মিত নাটক ও অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
র্যাঙ্কিং: ইবি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়েও উল্লেখযোগ্য স্থান অর্জন করেছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব:–
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারণাটি ২০শ শতকের শুরুতে উত্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে সরকার এর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। প্রথমে এটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) এর সহায়তায় পরিচালিত হলেও পরে এটি সম্পূর্ণরূপে সরকারের অর্থায়নে চলে আসে। ১৯৮০-এর দশকে কিছু চ্যালেঞ্জের কারণে এটি সাময়িকভাবে গাজীপুরে স্থানান্তরিত হয়েছিল, তবে ১৯৯০ সালে এটি কুষ্টিয়ার বর্তমান ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে এটি জাতীয় উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার উৎকর্ষতায় অবদান রাখছে।
0 Comments